Monday, May 27, 2024

হলুদ বসন্ত --- সুব্রতা মজুমদার

 


(রবিবারের বৈঠক, দৈনিক যুগশঙ্খ, রবিবার ২ আগস্ট, ২০১৫। পৃষ্ঠা ৯)

জ আমার চতুর্থমঙ্গল। কথায় বলে সময় এবং স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। মানুষের জীবনেও বয়ে যাওয়াতেই আনন্দ, কিন্তু আমাদের চারপাশের উপরই আসলে নির্ভর করে তার থেমে থাকা এবং বয়ে যাওয়ার। কোনও সময়ই হয়তো খারাপ নয়, আমারও সেই সময়টা হয়তো ভালোই ছিল অন্যরকমভাবে।

তখন এমএ পাশ করেছি মাত্র, অনেক স্বপ্ন নিয়ে হাঁটছি। পিএইচডি করব, টি এস এলিয়টকে নিয়ে মন দিয়ে কাজ করব, কলেজের প্রফেসর হব, ইনোভা নিয়ে ঘুরবো, আরও কত কী! কিন্তু আমার সব স্বপ্নে জল ঢেলে দিয়ে ইউনিভার্সিটি বলল, অফিসিয়াল কিছু কারণে আমার এখন আর পিএইচডি হচ্ছে না। নেটেও দুবার বসে ব্যর্থ। ভাঙা মন নিয়ে উপায় তখন একটাই, বাবার পান দোকানে বসা। বিশুর পান বলে বাবার পান দোকান রংপুরে পরিচিত। এরকম পরিচিতি আগে ছিল না। বিশ বছর আগে মা দোকানটাকে ধরে রেখে দাদা আর আমাকে পড়িয়েছে। বড়পিসি তখন মাকে বলেছিল, মেয়ে হয়ে আবার দোকান চালাবে নাকি। অভাব দেখে বড়পিসি ওর মামার বাড়িতে চলে যায়। মা বাবাকে ছেড়ে যায়নি কোথাও। এইতো সেদিন যখন বিয়ে করতে যাব, দাদা ধুতি পরিয়ে দিচ্ছিল। মনে পড়ছিল শৈশবে দাদা আর আমি যেরকম কষ্ট করেছি তেমনি মজাও করতাম খুব। বিশ্বায়নের ঠেলায় অনেক কিছু এখন পালটে গেলেও খুব একটা পরিবর্তন এখনও হয়নি।

একদিন আমরা সন্ধেবেলা পড়তে না বসে রাস্তায় খারাপ হয়ে যাওয়া একটা বিয়ের গাড়ি দেখতে চলে যাই। দাদাই আমাকে নিয়ে যায়, ‘আয় আয় নতুন বউ দেখবি' বলে। মা সাধারণত বকে না, কিন্তু সেদিন বকেছিল। আমরা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়ি। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরি, আমার পকেটের একটাকা দিয়ে ডালমুট কিনে খাই। রাত যত হতে লাগল ভয়ও বাড়তে লাগল। হঠাৎ একসময় সামনে একটা টর্চের আলো দেখে শান্তি পেলাম দুজনেই। বাড়ি ফিরলাম। দাদা যখন ক্লাস এইটে হোস্টেলে চলে যায়, আমি তখন সিক্সে, বাড়িতেই থাকলাম। মা খুব কষ্টে ও বুদ্ধি করে দোকান চালিয়ে দাদা ইঞ্জিনিয়ারিং আর আমি এমএ করি। নদীর পারেই আমাদের বাড়ি। ছোটবেলা আমাদের কেটেছে নদীর পারে পারে বাঁশি নিয়ে খেলে। পাড়ায় একজন কাকা ক্লাসিক্যাল গানবাজনা শেখাতেন। আমার আগ্রহ দেখে আমাকেও মোটামুটি শিখিয়ে দেন, কিন্তু অস্বস্তিকর সেই সময়টাতে বাঁশিও বাজাতে মন চাইত না। প্রায় প্রতি রোববারই কোনো না কোনো ইন্টারভিউ থাকত, কিন্তু হচ্ছিল না চাকরি কোনদিকেই। মন খারাপ করে বসে থাকাটাই স্বাভাবিক। সেদিন বাবার ওষুধ আনতে ক্লিনিক যাচ্ছি, রাস্তায় প্রেমতলার মোড়ে হিমাংশুর সঙ্গে দেখা, ও আমার কলেজের বন্ধু। গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে থেকে বেরোচ্ছে। আমাকে দেখে বলে,

--- ওই রাহুল দাঁড়া, কেমন আছিস?

ভাবলাম বলি, ভাই আমার বাইক নেই, চাকরি নেই, গার্লফ্রেন্ড নেই, কেমন আর থাকব। পরে মনে হল ওকে ওসব বলে লাভ নেই, তাই বললাম, এই তো ভাই, ভালো। তুই বল.....

মিনিট পাঁচেক কথা হল ওর সঙ্গে। ওর খুব তাড়া ছিল জিএফ-কে তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে হবে বলে। বলাবাহুল্য আমার তখন কোনও তাড়া নেই, যেখানে যাই প্রচুর সময়। আর এমনিতেও আমার বন্ধুদের সঙ্গে আমার ইউনিফর্ম আর সিলেবাস ছাড়া আর কিছুরই মিল ছিল না। আমার মায়ের জ্যোতিষে বিশ্বাস। আমার এই অবস্থা দেখে জ্যোতিষ কালাদাকে ডাকল।

কালাদা দেখে বলে, মঙ্গল শনি, কেতু, শুক্র সব খারাপ। প্রতিকার করতে হবে। আমি ওসব পছন্দ করি না বলে ওকে দেখলেই মাথা খারাপ হয়ে যায় আমার। মনে হচ্ছিল, তাড়িয়ে দিই। ব্যাঙ্কে যাওয়া, সিলিন্ডার আনা, ওষুধ কিনে আনাই তখন আমার কাজ। সেদিন মা বলে, ব্যাঙ্ক পাসবুক আপডেট করিয়ে আনতে। গেলাম ব্যাঙ্কে। সেখানে আমার পাশেই চেয়ারে বসা মেয়েটি আমাকে দেখে হাসছিল। মনে হচ্ছিল অকারণে অমন হাসছে কেন, তাই আমিও রেগে গিয়ে বলি, এক্সকিউজ মি! হাসির কারণ জানতে পারি? আসলে আমার শার্টের কলারে ছোট্ট একটি প্রজাপতি বসেছিল, যেটা অনেক্ষণ ধরেই আমি খেয়াল করিনি। ও সেটা দেখিয়েই বলে, রি, না মানে, ওই যে প্রজাপতিটা কী সুন্দর!

তারপর দুজনেই হাসলাম। প্রায় আধঘণ্টা কথা হল দুজনের। আমি বাড়ি ফিরেই ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দিলাম। মাস দুয়েকের মধ্যেই বন্ধুত্ব প্রেমে বদলে যায়, আর আমার মোজার গন্ধে টইটুম্বুর ঘরে মৌ প্রেমের ধূপকাঠি জ্বালিয়ে বাতাবরণ বদলে দেয়।

 

মৌয়ের বাবা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার। মালুগ্রামে বিশাল বড় বাড়ি ওদের। আমার সেরকম কিছু না থাকা সত্ত্বেও আমাকে ভালোবেসেছে, এমনই ভালো মনের মানুষ সে। একদিন মন খারাপ করে ফোন করে, মা আমার জন্য পাত্র ঠিক করেছেন, ডাক্তার।

- ভালো, বিয়ে করে ফেলো।

আমার কথা শুনে ও রেগে ফোন কেটে দেয়। ওর বাবার সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আমার নেই, তা-ও গেলাম। ওর মা-বাবা আমাকে স্নেহই করতেন ওর বন্ধু বলে। ওর বাবা আমাকে দেখে বললেন, বলো রাহুল, কী করছ আজকাল?

আমি বলার সুযোগ পেয়ে হড়হড় করে সব বলে দিলাম। শান্ত স্বভাবের ওর বাবা আমাকে ওর বন্ধু হিসেবেই মেনে নিলেন, মেয়ে জামাই হই এটা পছন্দ হল না। বললেন, দেখো, তোমার সামনে প্রচুর সময় আছে, মন খারাপ করো না, এগিয়ে যাও জীবনে। আমার তো একটাই মেয়ে, তাই ওকে ভালো কাজকর্ম করে, ভালো বংশের এরকম ছেলের সঙ্গেই বিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের প্রয়াগ মহলের চৌধুরী। তোমাদের আদি বাড়ি কোথায় বলতে পার ?

বললাম, না।

বেরিয়ে আসার সময় মৌয়ের দিকে তাকালাম একবার; অনুভব করছিলাম ওর বুক ফেটে যাওয়ার যন্ত্রণা। আমার কি কিছু কম হচ্ছিল যন্ত্রণা। কিন্তু কিছু করার ছিল না, কারণ আমি তখন এক কাঠ বেকার যুবক রাহুল। বাড়ি ফিরে মৌয়ের সব ফোন কল অ্যাভয়েড করতে লাগলাম। জেদ তখন একটাই- চাকরি চাই। একটা চাকরি আমাকে জোগাড় করতেই হবে। মাথা যখন একটু ঠান্ডা হল পালটা ফোন করলাম। কিন্তু ও তখন আর রিসিভ করল না। দিন কয়েকের মধ্যেই ওর বিয়ে হয়ে যায় ডাক্তার অরূপ দত্তের সঙ্গে। আমার বন্ধু সুমিতের মুখে নাম শুনে চিনলাম অরূপ দত্তকে। ওর কাকা তার শালার বৌকে জ্বালিয়ে মেরেছে তাও ওদের বংশ ভালো! আমার মাথায় তখন অনেকগুলো ভাবনা, এর মধ্যে জায়গা বদলটাকেই বেছে নিলাম। অনেক খুঁজে খুঁজে সিপেঞ্জুরি চা-বাগানে চাকরি পেলাম। কিন্তু কাজের ফাঁকে কথা প্রসঙ্গে মৌয়ের কথা মনে পড়েই যেত।

 

প্রথম দিন বাগানের বাংলোয় ঢুকে দারুণ লাগছিল। দুজন কাজের লোক। বেরিয়ে এল আমাকে দেখে। একজন মালী, আরেকজন রান্নার লোক। আমার রান্না করে দেবে দশ-বারো বছরের ওই মেয়েটাকে দেখে মনে হল, তিন লিটারের প্রেসার কুকারে পাঁচ লিটারের গ্যাসকেট লাগিয়ে হুইশল দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা চা-বাগানে নতুন নয়, অনেকদিনের। সে যাইহোক, ওড়িয়া ওই মেয়েটা যে কী বলে আমি তার কিছুই বুঝতে পারি না, এই প্রথম উপলব্ধি করলাম ভাষা না জানা কত সমস্যার। প্রথমেই বলল, সাহাব জুয়ার! (জোহার)  

ওর দুহাত জোড় দেখে বুঝলাম নমস্কার করছে। বললাম,

---হুম্।

--- অভি খায়েগা, না কতলা খায়েগা?

আকার ইঙ্গিতে বুঝলাম যে কখন খাবো। এরকম করেই আকার ইঙ্গিতে চার-পাঁচ দিন যায়, ওরও অসুবিধে হচ্ছিল তাই আর আসেনি। মালী আরেকজনকে ঠিক করে দেয় নইলে ওকেই রাঁধতে হত। ভাবলাম সেই একই হবে, আবার আকার ইঙ্গিত, কী সমস্যায় পড়লাম! ও গ্লাসে জল নিয়ে এসে বলে, সাহাব নমস্তে!

--- হুম।

--- আভি খানা লাগাদে ?

--- বাহ রে! তুমকো হিন্দি আতি হ্যায়?

-- হ্যাঁ সাহাব, থোড়া বহুত৷

--- হুম। আর বাংলা পারিস না?

--- হামি উইটা হিন্দি থেকেও ভালো জানি।

--- ওহ, গুড! কী নাম তোর?

---পনোতি।

 

পনোতি বেশ যত্ন করেই আমার দেখভাল করছিল। ওর পরিবার বলতে ওর পিসি, আর কেউ নেই। পিসির সঙ্গেই থাকে, আর যা রোজগার করে পিসিকেই সব দিয়ে দেয়। বুঝলাম যে কোনও দিন বাড়ি ফিরে না খেয়েই শুয়ে পড়ে। পিসি ওর জন্য খাবার রাখতে ভুলে যায় কিন্তু ওর তলব ঠিকার হিসেবে নিতে ভোলে না। এসব জানতে পেরে দুপুরের খাবার ওকে পেট ভরে আমার বাংলোতেই খেতে বলি, তখন থেকে ও আমাকে আরও কদর করতে থাকে। চা-বাগানে আমার কোনও দিনই কোনো ইন্টেরেস্ট ছিল না। ভাততাম চা-বাগানে মানুষ থাকে নাকি, কিন্তু পনোতি আমার সে ধারণা পালটে দিয়ে বাগানের সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দেয়। চারদিক সবুজ, নীল আকাশ, সাদা বক উড়ে যায়, সকালে এক পাখি ডাকে, দুপুরে আরেকটা, বিকেলে আবার আরেকটা। এ যেন স্বপ্নের দেশ! একদিন বিকেলে সুন্দর আকাশটাকে দেখিয়ে পনোতি বলে, সাহাব, আকাশটা দেখো, কী সুন্দর না! কিন্তু ছুঁতে পারবে না। আর উই পাখিটাকে চিনো? উইটা হলুদ বসন্ত, উই সজনা গাছটায় বসেছিল, যাহ! উড়ে গেছে।

ওর কথা শুনে মনে হল, ধুর মেয়ে, এত মনের কথা বলছিস। কী করে বললি! প্রসঙ্গ পালটে বলি,

--- তুই ওড়িয়া না ?

হোঁ।

--- একটা ওড়িয়া গান করতো!

---গান জানি না, ছড়া বলি?

--বেশ। বল।

---নাণ্ডি মুণ্ডি পাই টেঙ্গরি

শিমলো গছে বসা

ধাঁই আরে পাইকো বুড়ো

নাণ্ডি কে নেলা মুশা।

এর মানেটা ও আমাকে বোঝাতে পারেনি যদিও তবে ওর হাসি দেখে বুঝেছিলাম যে ওটা হাসির ছড়া, আমিও হাসলাম।

মৌকে যখন ভীষণভাবে মিস করতাম তখন ইন্টারনেটে বাঁশি শুনতাম খুব। ফ্লুটিস্ট এসবি রামনাথ আমার খুব প্রিয় শিল্পী। বাজনা শুনতে শুনতে হঠাৎই মনে হল ওর সঙ্গে যদি কথা বলা যেত তাহলে চাকরিবাকরি ছেড়ে চলে যেতাম সংগীত জগতে। অনেক খুঁজে গুগল প্লাসে জুড়ে গেলাম। সঙ্গে সঙ্গে মেল এল, হ্যালো বলে। আমি চমকে উঠি, বলি, হ্যালো, আই অ্যাম অ্যা ফ্যান অব ইয়োর....

--- অহ্, থ্যাঙ্কস। তুমি বাঁশি বাজাও?

--- ওই আরকি একটু আধটু। কিন্তু আপনি বাংলা বলতে পারেন?

--– হ্যাঁ, আমি বাঙালি। আমার বর সাউথের, ও তবলা বাজায়, গুরুজি মানে পণ্ডিত হরিপ্রসাদজির সঙ্গে, দেখোনি?

--- ওহ্, হ্যাঁ দেখেছি।

--- আর বলো, মিউজিক কীরকম চলছে?...

তারপর রামনাথদির সঙ্গে প্রায়ই কথা হতে থাকে, যেন আমার অনেকদিনের বন্ধু। দিদি আমাকে আবার মিউজিক শুরু করতে বলে। একদিন স্কাইপ করে দিদি আমাকে পাও জি ম্যানে রামরতন ধন ভজন আর একটা ফিউশন শোনায়। বাজনার স্টাইল দেখে বললাম অসাধারণ দিদি ! আমাকেও নিয়ে যাও তোমার ওখানে আমি তানপুরায় সুর ধরে রাখবো।

দিদি হেসে বলে, চলে এসো। কিন্তু আগে তোমার তারগুলো সব ঠিকঠাক করে লাগাও, ওগুলে উলটোপালটা লাগানো রয়েছে।

আমি আবার বলি, দারুণ ফিউশন বাজাও দিদি মন ভরে যায়। তোমার ওই আঙুলগুলো আমাকে দিয়ে দাও, আমি ল্যামিনেশন করে রাখবো।

দিদি আবার হাসে, হে হে হে, ধুর! আমার আঙুলগুলো কত সুন্দর! চ্যাপটা হয়ে যাবে না ল্যামিনেশন করলে?

আমার কাজ তখন একটাই। অফিসে গিয়ে রামনাথদির সঙ্গে চ্যাট, কাজের ফাঁকে মৌকে ভাবা বাংলোয় ফিরে পনোতির চা-বাগান নিয়ে গল্প আর আমার প্রিয় ডিম-আলুর ঝোল। এরকম কাজকর্ম কোন বাগান কর্তৃপক্ষ মেনে নেবে? একদিন নোটিশ চলে এল, আমিও রিজাইন দিয়ে দিলাম। বাংলোয় ফিরতে সন্ধ্যা। সোজা রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। পনোতি দরজায় দাঁড়ায়, বলে, সাহাব চা খাবে? আর রাতে কী বানাব?

--- জানি না রে।

বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিল দেখে ও আমার রুমের জানালাগুলো বন্ধ করছিল, আমি না করলাম, টা  খোলাই থাক। তুই যা না রে এখান থেকে।

ও চলে গেল। যখন ঘুম ভাঙল তখন সকালব্যাগ গুছিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম। চলে যাব শুনে পনোতি আর দেখাই করল না এসে। প্রকৃতি ঘেঁষা এরা, রা এরকমই হয়। দূরের লোককে যেমন আপন করতে জানে তেমনি অভিমানীও।

আমার ভাঙা নৌকা আবার মাঝদরিয়ায়। শুরু হল আবার ইন্টারভিউ দেওয়া। তবে এইবার হয়ে গেল এসএসসি-র পরীক্ষায় সিলেকশন হয়ে যায় আমার চাকরি পেয়ে পাঁচ মাসের মধ্যেই একটা ফ্ল্যাট করলাম একটা গাড়িও করলাম। আর পিছিয়ে নেই ; সময়ে সঙ্গে পা ফেলে এগোতে লাগলাম। আমার অফিসে অসমিয়া বান্ধবী সৃষ্টি হৃদয় জুড়ে বসে আর আমার বেসুরো বাঁশি সানাইয়ের সুরে বেজে ওঠে।

 

 

***** 

No comments:

Post a Comment